দেশের চলমান লোডশেডিং মোকাবিলায় প্রত্যেককেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভা কক্ষে (দ্বিতীয় তলা) সারাদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, আজকের সভায় যেটা সিদ্ধান্ত হল, প্রত্যেককে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে। পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে। বাজার-শপিংমল-মসজিদ-অফিস-আদালতে এসির ব্যবহার কমাতে হবে। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নিচে রাখা যাবে না। এছাড়া দোকানপাট ও শপিংমল তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন করোনা আবার বাড়ছে, সেই কারণে আমরা যদি অফিসের কর্ম ঘণ্টা কমিয়ে আনি, মাঝে মধ্যে যদি (ওয়ার্কিং ফ্রম হোম) বাসা থেকে অফিস করতে পারি, তাহলে আমাদের অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এবং আমরা টিকে থাকতে পারবো। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠানও যেন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করা হয়। রাতে যেসব অনুষ্ঠান হয়, সেগুলো যেন ৭টার মধ্যে শেষ হয়, এক্ষেত্রে সামান্য কিছু সময় দেরি হতে পারে।
তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, উন্নত দেশগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। জাপানের আয় আমাদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। সেখানেও লোডশেডিং হচ্ছে, সেখানেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ সারা পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও লোডশেডিং হচ্ছে। তারাও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। তাদের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। তবে আমাদের আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, চলমান এ পরিস্থিতি একটি যুদ্ধের মতো, সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব। এজন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে বলেছেন। সভায় জ্বালানির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply